পরস্পরের প্রতি ক্রিয়াশীল কিছু দৃশ্য/ ভিস্যুয়াল শিল্প ক্রীড়ার মাধ্যমে পড়ুয়ারা পর্যায়ক্রমে আদর্শ পুরুষের/ পৌরুষ চেতনার কিছু ছবি নির্মাণ করবে এবং এর মাধ্যমে এই ধারণার এক প্রতিনির্মাণ ঘটবে।নতুন এই প্রতিচ্ছবি প্রতিস্থাপিত হবে এক পুনঃকল্পিত দুনিয়ার ভিতরে যার সঙ্গে জুড়ে থাকবে লিখিত, রূপায়িত ও দৃশ্যগত অভিব্যক্তির এক আকার স্বরুপ।
এই প্রকল্প/ প্রজেক্ট এই শহর'এর স্কুল তথা এনজিও পার্টনারদের মাধ্যমে মৌলিক যুবগোষ্ঠী কে একত্রিত করবে যারা পরবর্তীতে এই কথোপকথন জারি রাখবে তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এবং গোষ্ঠীসমাজে- এই পৌরুষ চেতনার এবং সামাজিক লিঙ্গচেতনার নির্মাণ ও ধারণা সম্মন্ধে।তারা যৌথভাবে সৃষ্টি করবে আদর্শ এই পৌরুষধারণার এক নতুন অবয়ব এবং এর মাধ্যমে চিরাচরিত পৌরুষ নির্মাণও প্রত্যাশার বিরুদ্ধে তৈরী হবে এক প্রতিস্পর্ধা কিছু দৃশ্য/ ভিস্যুয়াল শিল্প ক্রীড়া ও কয়েকটি ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যম ব্যবহার করে।
প্রাথমিক এই সংলাপ পর্যবসিত হবে দ্বিতীয় দফার পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে গোয়েথে-ইনস্টিটিউট/ ম্যাক্সমুয়েলারভবন'এর মধ্যে- যেখানে অংশগ্রহণকারী দল শিক্ষাঅর্জন করবে কিভাবে তাদের নিজেদের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বর্তমান পৌরুষ চেতনার যে বোধ রয়েছে তাকে ব্যক্ত করা কিছু লিখিত ও মূর্ত দৃশ্যকল্পশৈলী ব্যবহার করে।।প্রত্যেক স্কুল দুই সপ্তাহ সময় পাবে তাদের এই উদ্ভাবনী প্রতিক্রিয়া কে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেটা এক পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী হিসাবে গোয়েথে-ইনস্টিটিউট/ ম্যাক্সমুয়েলার 'এ অনুষ্ঠিত হবে।
দুই সপ্তাহের এই প্রদর্শনী পড়ুয়াসমাজ, তাদের অভিভাবক এবং তাদের বৃহত্তর গোষ্ঠী কে একত্রিত করবার একটা প্রয়াস যেখানে সমষ্টিগত ভাবে পুরুষের এই ধারণা কিভাবে তাদের জীবন কে প্রভাবিত করেছে তার একটা আলোচনার ক্ষেত্র তৈরী করবে- যার মাধ্যমে পড়ুয়াগোষ্ঠী তাদের আশা এবং আশঙ্কার কথা তুলে ধরতে সক্ষম হবে।
এই প্রকল্পের কাজ এর মাধ্যমে পৌরুষের এই প্রতিচ্ছবির প্রসঙ্গে একটাক থোপকথন সৃষ্টিরসুযোগ তৈরী করবে একাধিক স্কুল এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে এবং যুবসম্প্রদায় কে সঙ্গে নিয়ে তাদের ধারণা ও ভাবনার এক আত্মপ্রকাশ এর ক্ষেত্র তৈরী করবে- আগামীর এক বার্তা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ের নিরিখেওয়ার্কশপ বা কর্মশালাগুলি পৌরুষচেতনা সংক্রান্ত যে বিবিধ বর্ণমালা রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত আমরা উপলব্ধি ওঅনুশীলন করি সেইটা অনুধাবন করবে বিবিধ শৈল্পিক নীতির মাধ্যমে।
হামদাস্তি
হামদাস্তি,পারস্য ভাষায় যার অর্থ পার্টনারশীপ বা অংশীদারিত্ব কলকাতায় তথা ভারতবর্ষে অবস্থিত একটি সংগঠন যা শিল্পী ও গোষ্ঠীর মধ্যে এক যৌথ কাজ এর সৃষ্টি করে থাকে।ওঁরা মনে করেন আর্ট এবং ডিজাইন সংলাপ ও কথোপকথন সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বিশেষ করে জনমানসে কথাবার্তা ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে।
থিঙ্কআর্টস
থিঙ্কআর্টস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ র ডিসেম্বর এ শিশু ও কমবয়েসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উচ্চমানের এবংঅবস্থান্তর শিল্পকল্প নিয়ে কাজ করার জন্যে একটি সংগঠন হিসাবে।গোড়ায় ছিল এই বিশ্বাস যে লাগাতার এক শৈল্পিক অভিজ্ঞতা শিশুদের কল্পনা ও অনুভূতিপ্রবণতার বিকাশের ক্ষেত্রে অনিবার্য।ওরা অসংখ্য শিশু ও কমবয়েসী মানুষদের সঙ্গে কাজ করেছে ভারতবৰ্ষেৰ একাধিক অঞ্চলে স্কুল, মিউজিয়াম ও ঐতিহ্যশালী থিয়েটার বা অন্য ক্ষেত্রের মাধ্যমে।থিঙ্কআর্টস প্রায় ৭৫এর অধিক পার্টনারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে ভারতবর্ষে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে একটা বিবিধ কর্মসূচীর হাত ধরে যেখানে সাহিত্য ভিত্তিক, দৃশ্যগতশিল্প, নৃত্য, নাটক ও কথকতার মাধ্যম প্রধানতম।